বাংলার প্রতিচ্ছবি । ১১ আগষ্ট ২০২৪ !! ১৯:৪৫
রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কেকা রায় ও সহকারী অধ্যাপক ড. ফারহানা খানমকে জোর করে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
পদার্থ বিজ্ঞান বিষয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. ফারহানা খানম অভিযোগ করে বলেন, ‘আমাকে চার ঘণ্টা আটকে রেখে পদত্যাগপত্রে সই নিয়েছে। সাদা কাগজে বাংলা ও ইংরেজিতে সই নিয়েছে। অধ্যক্ষ কেকা রায়কেও জোর করে পদত্যাগপত্রে সই করানো হয়েছে। অধ্যক্ষ সাধারণ শিক্ষক হিসেবে থাকতে চেয়েছিলেন, সে সুযোগও দেওয়া হয়নি।’
যারা অধ্যক্ষসহ দুই শিক্ষককে পদত্যাগে বাধ্য করেছেন তাদের মধ্যে বর্তমান ছাত্রীদের চেয়ে সাবেক ছাত্রী বেশি ছিল বলে জানান তিনি। ড. ফারহানাকে জোর করে পদত্যাগপত্রে সই নেওয়ার একটি ভিডিও পাওয়া গেছে।
ভিকারুননিসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কেকা রায়ের বিরুদ্ধে অবৈধ ছাত্র ভর্তির অভিযোগ রযেছে। অভিযোগ মতে, ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে প্রথম শ্রেণিতে ১৬৯ জনকে ভর্তি করায় নিজেদের শর্ত নিজেরাই ভঙ্গ করে ভিকারুননিসা। প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির ঊর্ধ্বসীমা নির্ধারণ করে আবার তা অনুসরণ না করেই ১৬৯ শিক্ষার্থীকে ভর্তি করানো হয়। উচ্চ আদালত থেকে এই অবৈধ ভর্তি বাতিল করা হয়। এর পর থেকে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ ওঠে।
সম্প্রতি সরকার পরিবর্তনের পর শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষসহ দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে প্রতিষ্ঠানে বিক্ষোভ করে। রবিবার (১১ আগস্ট) বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষসহ দুই শিক্ষককে জোর করে পদত্যাগত্রে সই করিয়ে নেয়।
এই বিষয়ে সহকারী অধ্যাপক ড. ফারহানা খানম বলেন, ‘আমি পদত্যাগ করিনি। আমার কাছ থেকে জোর করে পদত্যাগপত্রে সই করিয়ে নেয়। আমি বিভাগীয় কমিশনারের কাছে বিষয়টি জানিয়েছি।’
জোর করে পদত্যাগ করিয়ে নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কেকা রায় ফোন রিসিভ করেননি। মেসেজ দিলেও কোনও উত্তর দেননি।