বাংলার প্রতিচ্ছবি : দক্ষিণ এশিয়ার নারী ফুটবল অর্থাৎ সাফে টানা দুইবারের চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ। তবে ঘরোয়া লিগে দৈন্যদশা। নামকাওয়াস্তে লিগ হচ্ছে। এবার বাফুফের নারী উইং কমিটি নড়েচড়ে বসেছে। আজ বাফুফে ভবনে ছেলেদের পেশাদার ফুটবলে খেলা দলগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় সভায় পুল প্রথা করে ফিফার নির্দেশনার আলোকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ লিগ করার অভিপ্রায় প্রকাশ করা হয়েছে। যদিও সভাতে তিনবারের চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস ও দুই ঐতিহ্যবাহী আবাহনী লিমিটেড এবং মোহামেডান স্পোর্টিংয়ের কোনও প্রতিনিধি কেউ ছিলেন না।
মতবিনিময় সভা শেষে বাফুফের নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘ক্লাবগুলোর সঙ্গে আলোচনার প্রেক্ষিতে খেলোয়াড়দের পুল করার বিষয়টি এসেছে। এতে দলগুলো প্রায় সমশক্তির এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতার মান বাড়বে। এছাড়া ফিফার নির্দেশনায় অন্তত ৬ মাসের লিগ করতে চাই। যাতে করে ৯০টি ম্যাচ হতে পারে। এতে করে ফিফার ফান্ডও পাওয়া যাবে। তখন আমরা বিশ্বব্যাপী যে নারীদের লিগের স্বীকৃতি সেটাও হবে। এছাড়া উন্নতি করতে হলে ফিফার নিয়ম মানতে হবে।’
পুলপ্রথা আগে ছেলেদের ফুটবলে হয়েছিল। তবে তা কখনোই ইতিবাচক কিছু বয়ে আনেনি। যদিও কিরণ আশা দেখাচ্ছেন এভাবে, ‘আমরা এমনভাবে করবো যেন মেয়েরা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। তবে লিগের জন্য ক্লাবগুলো আর্থিক সহায়তা চেয়েছে। বিষয়টি সভাপতি ও মার্কেটিং কমিটির সঙ্গে আমি আলোচনা করবো। লিগে যারা খেলবে তাদের শর্ত পূরণ করেই আসতে হবে।’
তবে দীর্ঘমেয়াদে লিগের জন্য ক্লাবগুলো প্রতি মাসে ১০ লাখ টাকা করে সাহায্য চেয়েছে বলে পরবর্তীতে জানান রহমতগঞ্জ ক্লাবের কর্মকর্তা টিপু সুলতান, ‘একটি ক্লাবের পক্ষ থেকে প্রতি মাসে দশ লাখ টাকা ফেডারেশনকে অনুদান দেওয়ার প্রস্তাব এসেছে। অন্য ক্লাবগুলোরও এতে সায় রয়েছে। আর্থিক সহায়তা না পেলে দীর্ঘমেয়াদী লিগ খেলা সম্ভব নয়।’
আজকের মত বিনিময় সভায় প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবগুলোর মধ্যে ব্রাদার্স ইউনিয়ন, চট্টগ্রাম আবাহনী, বাংলাদেশ পুলিশ ও রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটি উপস্থিত ছিল। দেশের অন্যতম শীর্ষ ক্লাব বসুন্ধরা কিংস, আবাহনী ও মোহামেডান আসেনি। পেশাদার লিগের ক্লাবগুলোকে সভার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হলেও লিগ কমিটির চেয়ারম্যান এই বিষয়ে অবগত নন।
এনিয়ে প্রশ্ন হলে কিরণ যুক্তি দেখিয়ে বলেছেন, ‘আমি দেশের শীর্ষ দশটি ক্লাবকে ডেকেছি। কোনও কমিটির অধীনে থাকা ক্লাবকে ডাকা হয়নি। এটা সম্পূর্ণ ক্লাবগুলোর এখতিয়ার বা স্বাধীনতা, কোনও খেলা খেলবে নাকি খেলবে না। ’
যদিও সেই ১০টি ক্লাব পেশাদার লিগ কমিটির অধীনেই ফুটবল খেলে থাকে!