প্রিন্স মন্ডল অলিফ (বাগেরহাট প্রতিনিধি) : “সিইসি জানে না, বাগেরহাট চেনে না—বাগেরহাটে ৪টি আসন, ফিরে দাও, দিতে হবে”—এমন শ্লোগানে মুখর হয়ে উঠেছে বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলা। চার আসন পুনর্বহালের দাবিতে বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে চলছে টানা ৪৮ ঘণ্টার সকাল-সন্ধ্যা হরতাল।
দিনভর সর্বদলীয় নেতা-কর্মীরা ঢাকা–চিতলমারী মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। এতে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে পড়ে এবং জনজীবনে স্থবিরতা নেমে আসে।
আন্দোলনকারীরা জানান, বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসন আগের মতো পূর্ণ বহাল রাখতে হবে। দাবি পূরণ না হলে আরও কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন তারা।
হরতালের কারণে উপজেলা নির্বাচন অফিস, উপজেলা পরিষদ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বাজার ও দোকানপাট পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। শতাধিক মৎস্য আড়তেও ব্যবসা-বাণিজ্য থেমে যায়। স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে চিতলমারী বাজার এলাকা।

বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও বিএনপি নেতা মো. সোয়েব হোসেন বলেন, “১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় ছাড়া চিতলমারীতে এমন হরতালের দৃশ্য আমি আর কখনও দেখিনি।”
এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এলাকাজুড়ে মাইকিং ও সর্বদলীয় বিক্ষোভ মিছিলের মাধ্যমে হরতালের ঘোষণা দেওয়া হয়।
বুধবার মহাসড়ক অবরোধকালে বক্তব্য রাখেন সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির আহ্বায়ক ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. মমিনুল হক টুলু বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক মো. শরিফুল হাসান অপু, সাবেক সদস্য সচিব আহসান হাবীব ঠান্ডু, উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা মো. মনিরুজ্জামান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চিতলমারী শাখার সভাপতি ডা. কাজী আবুল কালাম, সেক্রেটারি মাওলানা শাহাদাৎ হোসেনসহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতারা।
এ ছাড়া বক্তব্য দেন উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাডভোকেট মো. ফজলুল হক শেখ, এ্যাডভোকেট অসীম কুমার সমাদ্দার, বিএনপি নেতা সোয়েব হোসেন গাজী, শিপন মুন্সি, রাজু আহমেদ মুন্সি, যুবদলের আহ্বায়ক জাকারিয়া মিলন, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মো. নিয়ামত আলী খান, কাশীনাথ বৈরাগী, যুব ইসলামী আন্দোলনের সভাপতি ডা. শেখ নাজমুল হুদা ও সাধারণ সম্পাদক মো. আতিয়ার রহমান প্রমুখ।
বক্তারা জোর দিয়ে বলেন, “বাগেরহাটের চারটি আসন পুনর্বহাল না করা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। দাবি মানা না হলে আগামীর কর্মসূচি আরও কঠোর হবে।”