ঢাকা | ০৬ জুন ২০২৫ ইং | বঙ্গাব্দ

খাদ্য ও নিত্য পণ্যের ভ্যাট বৃদ্ধি, বাজেট সংশোধনের আহ্বান

প্রকাশের তারিখ: জুন ৪, ২০২৫ ইং

ছবির ক্যাপশন:
ad728
বাংলার প্রতিচ্ছবি : ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে খাবার বিস্কুট ও ব্রেডে ভ্যাটের হার নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বাংলাদেশ অটো বিস্কুট অ্যান্ড ব্রেড ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএবিবিএমএ)। 

বুধবার (৪ জুন) রাজধানীর দিলকুশায় জীবনবীমা টাওয়ারে তাদের নতুন কার্যালয়ে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ প্রতিক্রিয়া জানায় সংগঠনটি। 

অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শফিকুর রহমান ভূঁইয়া বাজেটে কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তাকে গুরুত্ব দেওয়ার জন্য সরকারের প্রশংসা করলেও বিস্কুট ও ব্রেড শিল্পের মতো গুরুত্বপূর্ণ কৃষি প্রক্রিয়াজাত খাত উপেক্ষিত থাকায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। 

তিনি বলেন, ‘বিস্কুট ও ব্রেড সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন খাদ্য। অথচ এই শিল্পের জন্য কোনো সুস্পষ্ট নীতিগত সহায়তা বাজেটে নেই।’

তিনি জানান, অ্যাগ্রো ফুড সেক্টরের অংশ হিসেবে বিস্কুট ও ব্রেড শিল্প উৎপাদিত কৃষিপণ্যকে প্রক্রিয়াজাত ও প্যাকেটজাত করে বাজারজাত করে। এর মাধ্যমে শুধু কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হয় না, বরং খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হয় এবং অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।

বিএবিবিএমএ সভাপতি বলেন, ‘আমরা ২০ মার্চ এফবিসিসিআইয়ের মাধ্যমে সরকারের কাছে বাজেট প্রস্তাব জমা দিলেও সেগুলোর একটিও বিবেচনায় নেওয়া হয়নি। বরং ৯ জানুয়ারি জারি হওয়া অধ্যাদেশে বিস্কুটসহ কৃষি প্রক্রিয়াজাত খাদ্যসামগ্রীর ওপর ভ্যাট বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়। পরে বিস্কুটে তা কমিয়ে ৭.৫ শতাংশ করা হলেও অন্যান্য পণ্যে তা বহাল থাকে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বাজেটে ভ্যাট আবার ৫% নির্ধারণ না করা হলে বিস্কুট শিল্প মারাত্মক আর্থিক সংকটে পড়বে। উৎপাদন খরচ বাড়বে, বিক্রয়মূল্য বাড়বে; ফলে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর নাগালের বাইরে চলে যাবে এই নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্য।’

সংবাদ সম্মেলনে কৃষি উদ্যোক্তা ও অ্যাসোসিয়েশনের কার্যনির্বাহী সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘দেশের ৪৫% শ্রমশক্তি কৃষির সঙ্গে জড়িত হলেও জাতীয় আয়ে কৃষির অবদান মাত্র ১১-১২%। কৃষকের ফসলের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে হলে কৃষিভিত্তিক শিল্পায়ন এবং প্রক্রিয়াজাতকরণে জোর দেওয়া অপরিহার্য।’

তিনি আরও বলেন, ‘সরকার যদি তুলনামূলক সুবিধা দেয় এই শিল্পকে—যা সরাসরি কৃষকের ফসল প্রক্রিয়াজাত করে—তাহলে কৃষক, দেশীয় শিল্প ও অর্থনীতি—সবই উপকৃত হবে।’

বক্তারা জাইকার সহায়তায় গৃহীত কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ নীতিমালার বাস্তবায়নের বিষয়টিও তুলে ধরেন। এই নীতিমালায় মাত্র ৫% সুদে উদ্যোক্তাদের জন্য বিশেষ তহবিলের সুযোগ থাকলেও এখনো তা বাস্তবে কার্যকর হয়নি।

সংগঠনের পক্ষ থেকে জোরালোভাবে দাবি জানানো হয়, বিস্কুটের ওপর ভ্যাট ৭.৫% থেকে কমিয়ে আবার ৫% করা হোক এবং বাজেট পূর্ব প্রস্তাবনাগুলো পূর্ণ বিবেচনায় নিয়ে বাজেট সংশোধন করা হোক।
কমেন্ট বক্স