ঢাকা | ০৬ জুন ২০২৫ ইং | বঙ্গাব্দ

এবার হামজাকে ডাকছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের দল

প্রকাশের তারিখ: জুন ৪, ২০২৫ ইং

ছবির ক্যাপশন:
ad728
বাংলার প্রতিচ্ছবি : শেফিল্ড ইউনাইটেডের হয়ে আধ মৌসুমের চুক্তি শেষ। হামজা চৌধুরীকে আবার ফিরে যেতে হবে লেস্টার সিটিতে। তবে ইউরোপীয় সংবাদ মাধ্যমের খবর, তিনি আর লেস্টারে থাকতে চাইছেন না। এবার তাকে হাতছানি দিয়ে ডাকছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ।

২০২৫ সালে আন্তর্জাতিক ফুটবলের স্বপ্ন পূরণ হয়েছে হামজার। ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের জার্সি গায়ে অভিষেক হয়ে গেছে তার। এখন তিনি অপেক্ষায় আছেন বাংলাদেশের মাটিতে প্রথম ম্যাচটা খেলার। 

তার ঠিক আগে এলো নতুন খবর। তিনি তার দল লেস্টার সিটিতে আর খেলতে চাইছেন না। গেল জানুয়ারিতে লেস্টার তাকে ধারে খেলতে দিয়েছিল চ্যাম্পিয়নশিপের দল শেফিল্ড ইউনাইটেডে। সে দলটাকে নিয়ে তিনি খুব কাছে চলে গিয়েছিলেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের। 

তবে শেষমেশ তার দল শেফিল্ড প্লে অফের বৈতরণী পেরোতে পারেনি, ফলে আগামী মৌসুমেও দলটাকে চ্যাম্পিয়নশিপেই খেলতে হবে। এদিকে তার মূল দল লেস্টার সিটিও প্রিমিয়ার লিগ থেকে অবনমিত হয়ে নেমে গেছে চ্যাম্পিয়নশিপে। মূলত এ কারণেই তিনি লেস্টারে থাকতে চাইছেন না।

তার ইউরোপীয় লিগগুলোর শীর্ষ পর্যায়ে খেলার ইচ্ছে পূরণ হতে পারে গ্রীক চ্যাম্পিয়ন দল অলিম্পিয়াকোসে। লিগ শিরোপাজয়ী হওয়ার সুবাদে এই দলটি আগামী মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলবে সরাসরি।  সেই দলটা আসছে মৌসুমের জন্য তাকে দলে ভেড়াতে চাইছে এখন। 

এমন খবর দিয়েছেন গ্রীক সাংবাদিক গিওর্গোস সানাকাস। তিনি জানিয়েছেন, হামজাকে দলে পেতে মরিয়া গ্রীক চ্যাম্পিয়নরা। দলটির স্প্যানিশ কোচ হোসে লুইস মেন্দিলিবারের দর্শনের সঙ্গে হামজার খেলার ধরন সামঞ্জস্যপূর্ণ, সে কারণেই তাকে চাইছেন তিনি। তবে এই চাওয়া এখনও আনুষ্ঠানিক রূপ নেয়নি, তার বিষয়টি এখনও ক্লাবের ভেতরে আলোচনার পর্যায়ে আছে বলে জানিয়েছেন সানাকাস। 

গেল আধ মৌসুমে শেফিল্ডে খেলেছেন হামজা। দলটা যে প্রোমোশন প্লে অফ ফাইনালে উঠেছে, তাতে বড় ভূমিকাই রেখেছেন হামজা। মূলত এ কারণেই তার ওপর নজর পড়েছে অলিম্পিয়াকোসের।

লেস্টারের সঙ্গে হামজার চুক্তির আরও দুই বছর বাকি। তবে হামজা এখন আর ক্লাবটিতে থাকতে চাইছেন না। তাকে ছেড়ে দিতে ২০১৫-১৬ প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়নদেরও সমস্যা নেই বলে জানাচ্ছে ইউরোপীয় সংবাদ মাধ্যম।

অলিম্পিয়াকোসে যদি শেষমেশ পাড়ি জমিয়েই ফেলেন হামজা চৌধুরী, সেক্ষেত্রে ইতিহাস হাতছানি দিয়ে ডাকবে তাকে। বাংলাদেশের কোনো খেলোয়াড়ের পক্ষে ইউরোপের মহাদেশীয় প্রতিযোগিতাগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ ইউরোপা লিগ খেলার ইতিহাস আছে, সেটাও হামজারই। লেস্টারের হয়ে ইউরোপা আর কনফারেন্স লিগে খেলেছেন তিনি। তবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে কখনোই খেলা হয়নি। 

অলিম্পিয়াকোসে নাম লেখালে যে দলটার হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলবেন তিনি, তা বলাই বাহুল্য। সেক্ষেত্রে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে তিনি ইউরোপের সর্বোচ্চ পর্যায়ের ফুটবলে পা রাখবেন তিনি।
কমেন্ট বক্স