বাংলার প্রতিচ্ছবি : গতকাল ১৭/০৪/২০২৫ তারিখ সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের বিভাগীয় গোয়েন্দা কার্যালয় ঢাকার উপ পরিচালক জনাব খোরশিদ আলম এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে পরিদর্শক জনাব শাহরিয়া শারমিন এর নেতৃত্বে একটি টিম ঢাকা মহানগরের যাত্রাবাড়ী ও উত্তরার কামারপাড়ায় পৃথক অভিযানে ছয় হাজার পিস ইয়াবাসহ পাচজন আসামি গেফতার করা হয়। আসামিরা হলো :
১)জসিম উদ্দিন(৩০), পিতা: মৃত কবির আহমেদ, স্থায়ী সাং- পশ্চিম ইছাখালী, থানা : কক্সবাজার সদর জেলা : কক্সবাজার। ২) উজ্জ্বল হোসেন (৩৫) পিতা :মৃত আবদুল মিয়া, স্থায়ী সাং- ভেড়ামারা ভায়েরমাঝি, থানা : দৌলতপুর জেলা : কুষ্টিয়া। ৩)মিতা গাজী(৪০), পিতা: মৃত ছত্তার গাজী, স্থায়ী সাং- মুদাফা, থানা : টংগী পশ্চিম, জেলা : গাজীপুর। ৪) বারপি চাকমা(২৩), পিতা: কিপসিং চাকমা, থানা: টেকনাফ, জেলা: কক্সবাজার। ৫) উচাইমন চাকমা(২৫), পিতা: লাফসিং চাকমা, থানা: টেকনাফ,জেলা: কক্সবাজার।
বারবি চাকমা ও উচাইমন চাকমা টেকনাফে বাস করে। তারা পাকস্থলীতে করে কক্সবাজার থেকে ঢাকায় ইয়াবা নিয়ে এসেছিল। তাদের যাত্রাবাড়ি থানাধীন সায়েদাবাদ থেকে ২০০০ পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার করা হয়।
অপরদিকে জসীমউদ্দিন , উজ্জ্বল হোসেন ও মিতা গাজীকে উত্তরার কামারপাড়া এলাকা থেকে চার হাজার পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার করা হয়।এই সিন্ডিকেট কক্সবাজার থেকে ইয়াবা এনে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে পাইকারি ও খুচরা বিক্রি করে থাকে। এদের নামে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একাধিক মামলা রয়েছে। আসামীদের বিরুদ্ধে যাত্রাবাড়ী ও উত্তরা পশ্চিম থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়।
উপ-পরিচালক মোহাম্মদ খুরশিদ আলম বাংলার প্রতিচ্ছবিকে জানান, বাংলাদেশকে মাদকমুক্ত করার জন্য আমরা এ অভিযান অব্যাহত রাখবো, যেকোন মূল্যে আমরা বাংলাদেশকে মাদকমুক্ত করবোই। সমগ্র বাংলাদেশকে কিভাবে মাদকমুক্ত করা যায় এ বিষয়ে আমাদের মহাপরিচালক মোঃ হাসান মারুফ স্যার অনেক বড় মহাপরিকল্পনা নিয়েছেন। সে অনুযায়ী বাস্তবায়ন শুরু হয়ে গেছে।